বাঙালিকে
নিয়ে চুটকির সেকাল-একাল
১৯৯৮
এক জাপানি, এক আমেরিকান আর এক বাঙালি
এরোপ্লেনে চেপে যাচ্ছিল।
জাপানি বলল, আমরা
মোটরগাড়ি চালিয়ে আকাশে উঠি।
বাকি দু’জনের চোখ কপালে,
আকাশে?
মুচকি হাসে জাপানি, ঠিক
আকাশে নয়। দু’ আঙুল নীচে ফ্লাইওভারে।
আমেরিকান বলল, আমরা
চাকরি করতে আকাশে উঠি।
বাকি দু’জনের চোখ কপালে,
আকাশে?
হাহা করে হাসে আমেরিকান,
ঠিক আকাশে নয়। দু’ আঙুল নীচে হাইরাইজে।
এবার বাঙালি বলে, আমরা
নাক দিয়ে ভাত খাই।
বাকি দু’জনের চোখ কপালে,
নাক দিয়ে?
ঠিক নাক দিয়ে নয়, বুক
চিতিয়ে হাসে বাঙালি, দু’ আঙুল নীচে মুখ দিয়ে।
২০২৩
ভারত সরকার চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা করেছেন। বরাতের ভিত্তিতে চাঁদে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের দফতরে এসে দেখা করতে বলা
হয়েছে। কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে নির্দিষ্ট দিনে চন্দ্রাভিযান মন্ত্রকে হাজির হল এক
বাঙালি, এক পাঞ্জাবি ও এক গুজরাটি।
শুরুতে বাঙালির পালা।
অফিসার শুধোলেন, চাঁদে
যেতে কত নেবেন আপনি?
বাঙালি বলল, পাঁচ লাখ
স্যার।
এত কেন?
বাড়িতে আমার অথর্ব বাবা,
মা, বউ আর দুটো বাচ্চা রয়েছে। পরিবারে একা আমিই
রোজগেরে। যদি চাঁদ থেকে না ফিরতে পারি? একটা কিছু ব্যবস্থা করে যেতে হবে তো সকলের।
বেশ, এখন আসুন। পরে
যোগাযোগ করা হবে।
এরপর পাঞ্জাবির পালা।
অফিসার শুধোলেন, চাঁদে
যেতে কত নেবেন আপনি?
পাঞ্জাবি বলল, দশ লাখ জি।
এত কেন?
জি, পাঁচ লাখে ওই ব্যাটা
বাঙালিকে চাঁদে পাঠিয়ে দেব। বাকি পাঁচ লাখে খুব মৌজমস্তি করব।
বেশ, এখন আসুন। পরে
যোগাযোগ করা হবে।
শেষে গুজরাটির পালা।
অফিসার যথারীতি শুধোলেন,
চাঁদে যেতে কত নেবেন আপনি?
গুজরাটি বলল, পনেরো লাখ
বাবুজি।
এত কেন?
এদিক-ওদিক তাকিয়ে গলা
নামিয়ে বলল গুজরাটি, পনেরোর মধ্যে পাঁচ তো তোমার বাবুজি। আর পাঁচ আমার। বাকি পাঁচে ওই বোকা বাঙালিকে আমরা চাঁদে পাঠিয়ে দেব।
[কৃতজ্ঞতা
স্বীকার: চুটকি দু’টির অজ্ঞাত স্রষ্টাদের]
No comments:
Post a Comment