দু'ছড়া নদী
আমি
আমাকে পেরোতে পারি
পেরিয়ে
বা কতদূর উড়তে পারি,
টিয়া পাখি
একটাই
আকাশ
জল
ভরপুর, জলের আছে তল
আছে
বাতাসের গভীরতা
'দু'ছড়া নদী' আব্বার প্রেমিকা
মনে হয়।
নমস্য, হে
পাথর
থেকে গড়িয়ে আসা ধুলি
ব্রহ্মাণ্ড
ব্রহ্মাণ্ড, দ্রোহ
পুড়ি, পুড়ছি
টগবগে
হ্রদ
বাতাসের
বুকে প্রেম নাম লিখে বেঁচে ফিরি।
এক নিঃশ্বাস হেমলক
তেমন
নদীতে সাঁতার বারণ
মুঠো
মুঠো আঁধার, চোরাপথ
মন
যার পরবাসধ্যান;
এতটুকু
হবে কী প্রেম?
যতটুকু
হলে এক নিঃশ্বাস হেমলক খেয়ে
স্বাভাবিক
জীবন।
তামান্না
*
ফিরোজা
জন্মের
ধ্বনি হারিয়ে গেছে শরীর বৃত্তান্ত
আনন্দের
দিকে ;
মাকড়সার
জালে আঁটকে কঠিনের যাপন
হারিয়েই
গেল সহজের আমি
শায়েক্বা
মরসুমে ওম জাগাচ্ছে ঈশ্বর
শায়েক্বা
স্বজনে ফিরে আসছি নির্জন
নির্জনতরো
অনাদির প্রাণ গুলোর সাথে নিজেকে প্রকাশ হচ্ছি, প্রকাশ হচ্ছি তোমার ফিরোজার ভিতর
ইতরগুলো
সমুদ্র স্নানে যাচ্ছে তখন
*
যৌবনের
পেঁচা, বাগান যেদিকে।
মিথুনের
হাঁস দেওয়ালের ফুল,
রঙ গুলো
ফিকে।
সবুজ
পাহাড়, ভ্রমনেরা
আসে।
চড়ূইভাতির
উনুনেরা পুড়ায়
রক্তের ছাই ঘাসে।
সম্ভোগের
সকাল, নিতম্বে
প্রিয়ে,
স্রোতেরা
কথা শুনে না বলে
পুষে রাখো টিয়ে।
সুস্থতা
চায় না, বোকা বোকা
পাখি।
আকাশে
ঘুড়ি কাটাকাটি।
ডানা গেল
রাখি।
*
ছুঁয়েছিল
কবে তৃণ ছোলাশাক যাপনে,
এখন
লালশিরা বয়স -গাঁয়ের সাঁকোর
ক্ষমাশীল
দুপাড়, জলপেয়ে উঠে দাড়াচ্ছে ঘাসের আয়ু
কব্জি
সম্বন্ধনীয় ঘড়ি
আর
পর্দানশীন উপশহর।
আমাদের
বয়স
আমাদের
প্রাণজগৎ
দেশের
মতো রাষ্ট্রের স্রোতে ভেসেই গেল।
*
হরিণ
তোমার
আমলকী চোখে মহুয়াগামী আমি
তোমার
গালভর্তি হাসি মহাজাগতিক অরণ্য ;
তোমার
গুলির গর্তে আল্ট্রাসাউন্ড হৃদয় হ'তে ভ্যাকুয়াম ছায়াচিত্র
চাঁদের
প্রবাদ যেমন -
ভয়
-
চরে
বেড়াচ্ছে সব সংসারবদ্ধ শব
বাঘ
আর বনশ্রেণীর পাতানো ফাঁদে
পাতার
পোশাকের দাম্পত্য
ফাঁকে
উঁকি দেয় সন্তানেরা।
No comments:
Post a Comment