স্লিপিং পিল
ভুলে যাই
প্রেমিকের নাম
আখের গুছিয়ে রেখে
প্রভূত শব্দের থেকে দূরে
হেঁটে যেতে যেতে তবু মনে হয়
কোথাও একটা যাবার কথা ছিলো
অনাদিকাল ধরে চাষ করা জমির
সাথে
ফসলের বীজ যে ভাষায় কথা বলতে
শেখে
সেরূপ গোপন প্রতিবেদন হয়ে
যায় প্রেমাখ্যান
ছুটতে ছুটতে সীমান্ত প্রহরীর
নজর এড়িয়ে
আরো দূর অন্ধকারের নিকটবর্তী
হয়ে
ঘুম অথবা ঘুম বিষয়ক কথার
মধ্যে
ঢুকে পড়ে কৃষকের নতমুখী সুখ
বৃষ্টি নেই বৃষ্টি নেই
আষাঢ়ের
সমস্ত মেঘে সাদা সাদা
ছোট ছোট গোলগাল
স্লিপিং পিলের
সমাহার।
আষাঢ়
সন্ধ্যার হাত ধরে যেভাবে
হড়বড় করে বৃষ্টি নামছে।
সেভাবে মদের যোগান হচ্ছে না।
প্রিয়তম পথ ধুলো ধুয়ে
ফরসা করে ফেলছে গতর। ডালে
পাতার যৌন যোগাযোগে বোঁটা আলগা হবার পর মাটিও লিপ্ত হয় পরকীয়ায়। তুমি কেনো দেবে না
উঁকি পাড়ার লাইব্রেরীতে পড়তে আসা সদ্য ব্রা পরা কিশোরীর বুকে।
আলোচিত প্রেম ব্যর্থতার দিকে
ঝুঁকে থাকে সবসময়। নিরেট বাস্তবতায় কুড়িগ্রাম যেমন দরিদ্র মানুষের আখড়া।
লালমনিরহাটের অধিকাংশ পুরুষ শহুরে রিক্সা চালক। তাদের কোমরে লুঙ্গির ভাঁজে ছোট
বাটন ফোন। রিংটোন সেইভ করা "কতই রবো আমি পহ্নের দিকে চাইয়া রে"। শরীরে
বৃষ্টি নামলে তারাও একটা কোনো পলিথিন দেয়া ঘরে দাঁতে দাঁত চিবিয়ে কথা কয়। শোনেক
মাগী শোনেক। কাপড়াখান আরেকনা তোলেক। পেটে মদ নেই তবু খিস্তির বান ডাকে আদরের সময়।
কত-শত আষাঢ়ের রাত নিরাপদ দূরত্বে থেকে কেটে যায়। সন্ধ্যার বৃষ্টি নেশায় নিমন্ত্রণ
করা বন্ধুর অনুপস্থিতিতে বিষময় লেগে ওঠে। মদ নেই প্রেম নেই আষাঢ় তবু প্রভাব
বিস্তার করে আছে।
মেঘডুবি
কখন খুব বৃষ্টি
নামবে ভেঙেচুরে
কখন পুড়ে খাক হবে
অহেতুক নাগরিক যাপন
এসব নির্ধারণ করার পরে
হাতে তেমন সময় থাকে না
তাই ভালো করে ভালোবাসতে
পারছো না হয়তো আপাতত
নইলে পায়রার খোপে খুব
বাক-বাকুম শোনা যেতো
রঙিন পুঁই মাচায় উড়ে
এসে বসতো বুলবুল
পোষা কুকুরটার
আট ন'টা ছানা
কুঁই কুঁই-ই
করে চুষে খেতো
সার সার দুধের বাঁট
ঝড়ে পড়া আম কুড়াতে
এসে আচমকা জড়িয়ে নিতে
বুকের মধ্যে হু হু বইতো দু'জনার
মেঘ ডেকে ডেকে বৃষ্টি না হলে
দুঃখে
যেমন হিয়া ফেটে যায় চাতকিনীর
আমাদেরও তেমন দিন জৈষ্ঠ্যের
শুধু দেখা হলো কথা হলো না
কথা দিয়ে কাউকে কারো
ছোঁয়া তবু গেলো না
হা-হুতাশে জ্বলে
ছাই হলো মন।
স্নাত হওয়া গেল
ReplyDelete