বাক্‌ ১৫২ ।। সমিধ গঙ্গোপাধ্যায়

দস্তানার বাইরে



গোধূলিকে শয়তান বলো। তানগ্রস্ত আলো আমাকেও দাও। হয়ে উঠি আমি।

বিছের তেঁতুলস্বাদ বন্ধুরা জানে। আগ্নেয় মানত, তার নীল,আকাশ রহিত, বাঁধা গ্রীলফোটা গাছে। ডালে ও পাতায় রত স্ত্রী-আঙুল-আঙটি-পুরুষ, হেলনে স্বাদের বিছে একমাত্র বন্ধুলেন্সের ঠেক--আঁৎকে ওঠা বায়নায়
ক্রমশঃ বাঁচোয়া সম্মতি।

রক্ত গোপনের নয়। তাই ক্ষত আসে। আঁকাবাঁকা ছাউনির শ্বাস ফেরাতে না পেরে অগত্যা, বুজে যায়--পরিচিতি এত সস্তা নাকি? রক্ত, তবু, ঠিক এক শরীরের কথা নয়--শুধু কক্ষপথে সেই সমস্ত গ্রহ, তাদের ফেরের চিৎকার এক, চিরকেলে অকালকর্ষণের দায়ে আর চিনে যাওয়া উপেক্ষাটিও সহমত--রঙের সহ্যটি বড় বেশিই চুপচাপ, বোঝা যায়।

গলায় গামছা বেঁধে যে আসে কেবল তাকে জুয়া সবটুকু খেলা দেয়। বন্ধুও গ্রহণে গ্রহণে আমিইতিহাস হয়ে ওঠে, তাকে ভোলাবো যে,

আমার মধ্যে তেমন পুরুষই বা কবে ও কোথায়?





ব্যাঙ্গমা



অনুভূতিদের কিছু অভয়ারণ্যে থাকা ভাল। হরিণে নৈঋত আর ময়ালে ঈশান হবে না হুট বলতেই। নর্দমা বাইতে বাইতে গ্রুপ ফটো তোলার আবেদন নাকচও হবে না-- সমস্ত উত্তরীয় হাওয়ার সহোদর হোক না-হোক রিসাইকেলে যায় যাদৃশী।

চেয়ারে তস্করের গ্রন্থনাম বমাল গুলতি যেটুকু পাখি উস্কে দেয়, সেখানে বালকবৎ ভূষণের গায়ে গায়ে বিভূতির ক্ষীর--যতখানি নজরের মারধোরে বসে, চাপে, খায়ও দারুণ--তার প্রেমিকাকে বর্ণনার লোভে ফেলে ছড়াই। আদ্যন্ত ট্রাপিজবোদ্ধা সেইদিনই প্রক্সি ঘেঁটে দাঁতের ফুটোয় মাথা দেয়। মেলা শুধুমুদু ভাঙে-- হ্যাঁগা, দাগড়ার ধন কোন নক্ষত্রের নাড়িপোড়া চেয়ে এনেছিল?

ভাবনার ঋষভে এইসব কুলোপানা শিং আদতে ফিনফিনে
হজমির আয়ু।কালেভদ্রে বেদান্তের চড়ুই। চিন্তার বাথরুম। বাথরুমের চিলতে ফিল্টার। শঙখ ও মোমবাতির যুগপৎ করুণাময়ী কম্পিটিশনে অভিভূত
ফুঁ-য়ের একমাত্র দেশলাই যার ধৈর্য অবধি কারও ছিলিমের লাফালাফি জুটতে পারে না।

এককোষী রোদ্দুরের মাথায় মাথায় ছায়া বহুক্ষণ চাঁদা তুলে গেছে। বারো কি তেরো রসিদের বয়স কেউ কাউকে ছাড়েনি। বরং এবার একটু কথার কথায় তুলে আনো।
গৃহ গর্ভ পেতেও পারে...





জনৈক ইমোজি



তর্জনীর বেহুঁশ রাখি, অনাবিল? কথা দিই, ইন্দ্রিয়ের বাইরে কষ্ট পাবে না, অন্তত এখনই? ঘরে পা দেবার আগে জ্বালি তীব্রগন্ধা প্রণয়, অর্বাচীন কলি যাতে কান ছেড়ে মেঝেয় ঝরে পড়ে, ঝাঁট পাবার আশায় আর জানলা একটু ফাঁক করি যাতে আমাদেরও প্রশ্বাস কানের আরাম এত তাড়াতাড়ি না ছাড়ে?

মেলার কল্পনা তুমি--অষ্টম নাকি একাদশ, অতটা না ভেবে
ঘরে যাই, রাতে যাই, তার পাশে একটা বিরাট--হয়ে উঠছে--ড্রিলের শব্দ, ক্ষার পেটে গুলে নিয়ে কঠিনের কিরাত হয়ে উঠি--ভালবাসো?

যত কথা তোমার তার অনেক বেশি বলি মাধ্যমিকে--লেটার পাই--ছাত্রে ও শিক্ষকে বিস্ময়ের গুরু হয়ে উঠি--হিংসের সঠিক বিষাদ--হাতের দশানন এমন স্পর্শাতীত প্রচার সহজে পায়না--প্রতিটা চায়ের শেষ চুমুক একটা নতুন সিগারেট প্রসব করে-- উলটো পুরাণও মৃতজাতক নয় তো! এই মহাবোধি আমায় প্যান্ডেলের আরও খানিক মাথায় তুলে দেয়--অস্ফুটে জরুরি
  ধন্যবাদ দিই--টের পাও?

যথেষ্ট অনায়াস এই কারিকুলামের বর--দেবতা না-বুঝে
প্রতি অমাবস্যার ঠেকে বিলোতে থাকেন আর হাত কামড়ান আর হাত গজিয়েও যায়--সাধনা কিলোতে হয় না--ফিরে আসবে, ঘিরে গাইবে কারা যেন, আমি বাদেও, বলেনি তোমায়?

তারপর, খবর কী? ভক্ত স্টেসিস প্যাডে, নিয়ন্ত্রিত শীতাতপে, মহার্ঘ বেসমেন্টে, রাঙা দুলাল রেফ্রিজারেটরে কত টুকরো জীবন পেলে এ অবধি, বলো? এক কথায় বিক্রিবাটা হবে?

 

 

1 comment:

  1. খুব ভালো লাগল সমিধ।

    ReplyDelete