মাস্তুলের জ্বর
১৪
বসন্ত বাতাসে ওড়ে লাল লাল চাল
মাস্তুলের পাল নাচে লোভের মতন
আমাদের কান্না ছুঁয়ে গাড়লের চাল,
মেঘ ভেঙে তবু নামে বৃষ্টিরা অঝোর
চরাচর মাজে টিয়া—গৌতম–মেথর...
পাতার বুকের নিচে ওড়ে অবিগত
অংশত ওমের ক্ষত পিয়ালের কান্না!
মাতাল শিঙের রুট উত্তল খেয়ায়—
দারুণ করুণ সুরে জেগে ওঠে রক্ত…
সংসদ হলুদ হলে সিঁড়িরা গোঙায়!
২০
আমাদের বন আজ শেষ বংশধর
পশুর সুন্দরী কাঁদে রামপালের ঝাঁজে!
লেজার রশ্মি নামে আয়ুর বাগানে
অরণ্য–শেমিজ ছিঁড়ে খাড়া অন্ধকার—
নগরের রূপ বাড়ে মাংসের তুফানে...
ময়ূর পেখম মেলে কর্পোরেট বনে...
কলের ফুলেতে সাজে নাগরিক ঘর—
বসন্তবাউরির রং কোথায় যে পাই
কোথায় যে পাই সাঁকো, নলুয়ার হাওর,
সবুজ প্রকল্প,
গান, প্রেমের নহর…
৩৩
বসন্তের প্রজাতন্ত্র আসুক তুমুল—
ঝিরাবৃষ্টি, অশ্বাগন্ধা, জিরাফি সংসদ...
পথে পথে সর্দি-জ্বর, বিসুখ-আঁচড়—
সব উবে যাক দূরে প্রেমের ছড়ায়
'মাহারি, মাহারি' ডেকে জাগে চরাচর…
আবার ফিরিয়ে দাও জমিনের গান
বাঁকল আমার ওই সুন্দর নালাতা...
ছেড়ে দাও অতিক্ষুধা, সংসদি সন্ত্রাস...
দুধের নালির দেশে কেন এত খুন
লম্বা জিবের লেহন, হিংসার বাতাস!
৩৫
সে রেডিয়েশন নামে রাংপানির দেহে
ওজোন লেয়ার ছেঁড়ে ইটভাটার মেঘ—
সফেদার ঠান্ডা যোনি ভেঙে মেরুঢল!
মালিজি জিরাফি হোক ন্যাটোদের ঘর
জুতার অনিদ্রা তবু কাটে ক্যামোমিলে…
প্যারাট্রুপারের মতো তোমাদের গানে
ফাঁকা বাড়ি, ওড়ে চিল, ঝরে আপামর…
শান্ত হও, নেমে এসো হরিণঘাটা বনে
আমাদের ঝিলে হও মান্দারিন হাঁস—
মালিজি জিরাফি হোক ন্যাটোদের ঘর
৩৬
দুই পাশে পাহাড়ের ঢাল, মাঝে হ্রদ—
ছড়ানো-ছিটানো মৌরি, আদি টালিঘর…
মাংসাশী মিডিয়া যেন সানি লিয়োনের
হাঁ মুখের স্তন,
জিব, ভাড়াটে সৈনিক…
বৃষ্টির বাহারে নামে ঝাঁকে ঝাঁকে গুম!
না-দেখা তুমির মতো হানা দেয় রোজ
স্নিগ্ধ প্রোপাগান্ডা—অক্সিডেশনের ধুম…
ফেসবুকের নভে ওড়ে জাকারবার্গেরও
উড়ানি—সোনালি মিথ্যা, মাছেদের চোখ…
চরের লাহান জাগে দিকে দিকে গুম!
No comments:
Post a Comment