অশান্ত পাহারা ভেঙে
১
কষ্ট পাই। অভিনয় তবু। বেদনার পাশে যেসব অসুখ বড়
হচ্ছে দিনদিন, বুঝি তোমাদেরও
কোনো পরিসর আছে, অসুখী জীবন পেরিয়ে বসেছে যে আসর, জীবন ও আমরা কিরকম সমার্থক নেশার কাছে...
২
শুয়েছিলাম, বুকের স্পর্শ পেয়ে যে নদী শান্ত বয়েছে, ভেতরে খুলেছে
অবারিত জলকেলি, রিক্ত বিকেলের জামায় ওড়ে জাম্বুরা রঙের হাওয়া,
আমরাও দাঁড়িয়ে আছি একমুঠ শূন্য ছড়িয়ে দেব বলে...
৩
ভাঙাচোরা চাঁদগাঁও থেকে আসে নকশীকাঁথা, লতায় লতায় ফোটে গানের কলি, শুনেছি, গাল বেয়ে নেমেছে বেলফুলের গন্ধ, আরেকবার গাও, শ্রোতারা সুরের দিকে এলে, খুলে যায় পথ, উত্তরের কোনও দুপুরে মিশে যেতে যেতে
দেখি একদল ফণা ঢুলছে কলির ভেতর, লিকলিকিয়ে উঠেছে সুর,
আমাদের তবে ঝর্ণা হবার সময় হয়ে এসেছে...
৪
প্রতিটি অষ্টম শ্রেণি বয়ে বেড়ায় পোড়া গন্ধ, আমাদেরও পুড়েছিল স্কুল, ১৩ বছরের বুকে উড়ত কুঁচি করা নীল জামা, তবু একবুক
খাঁখাঁ দাঁড়িয়ে দেখেছে কিকরে পুড়ে যায় অংক পরীক্ষা, কিকরে
পাওয়া যায় না ষান্মাসিক পরীক্ষার ফল, কতটা লণ্ডভণ্ড হলে
স্যররা কেঁদে ফেলে, যেকরে অসহায় কিশোর কাঁদে বাপ-মা মারা
গেলে...
৫
যখন প্রসূতি ছিলাম, মেঘের পর্যটন এনে দিয়েছিলে গাছের ছায়ায়, অসমান তিল ক্ষেত থেকে একঝাঁক বাঁশি-পায়রা নামতো বিকেলের মাঠে, তাদের পেখম খুলে বেরিয়ে আসত এক বুনো শিশু, সরল খাতায়
লিখে রেখে যেত পাতা পাতা ঘুমের গান, যতবার গাই, নীমিলিত চোখে চুমু খেতে পারি, সেও কম নয়,স্মরণে যাচ্ছি, পিচ্ছিল পথে শুয়ে আছে শামুকভাঙা
গ্রাম, দাওয়ায় বসি, কেউ যদি পায়েসের
বাটি রেখে যায় পায়ের কাছে...
No comments:
Post a Comment