বাক্‌ ১৫২ ।। পিয়াস মজিদ

 

সানফ্লাওয়ার

~

প্রায় বছর চল্লিশ বয়সী একটা বডির বাগান

 

ভ্যান গঘের কাছে বর্গা দেয়া ছিল মনে হয়

 

আপনি এর যেখানেই পা রাখবেন, দেখে থাকবেন

কাঁটা কানের ছায়ার পিছে পিছে

স্বয়ং সূর্য সেলাই করছে 

একটা ফুলের মুখ।

 

 

 

 

 

কেন এত শনিবার

~

চাও বা না চাও

সামনে এসে দাঁড়াবেই

শনিবার সকাল,

যেমন বসেছিল শুক্রবার রাত।

কিছু না দেখতে চাইলেও

চোখের পর্দা বরাবর

চলতে থাকবে

দিনব্যাপী দৃশ্যের যোগসাজস।

ঘুমের ভিতর ঘুরে আসছ যে বন

সেখানে তোমারে ছেড়ে গেছে

মেয়েদের মন,

শরীর কুড়িয়ে নিয়ে চাখো

মরা মাছে বরফের চুমু।

এখনও এমন 

আচোদা আয়ুর ওপর 

কেন খোদার রহমত!

মানুষ তো তা-ই শুনে

যাতে তার কানের আরাম

বাদবাকি যা 

গামলা ভরা গানের ময়লা।

শুধু কেন আরও ০১টা শনিবার সকাল?

বরং কষ্টেমষ্টে রাতের স্বপ্নে 

বাসিমুখে সেঁধিয়ে থাকো

ক্ষুধা পেলে জাপান যাও 

ব্রাশ না করে সুশি খাও,

পয়দা হওয়ার পূর্বেই

মিনিংলেস এই শনিবারের

ঘাড় মটকাও।

 

 

 

 

 

 

অহেতু

~

 

তোমার শহরের দিকে

হাঁটতে শুরু করলে

রাস্তা হয়ে যায় বন।

 

বনের মধ্যে হাঁটতে হয় না,

হারিয়ে যেতে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

পল্টি

~

 

আমি তোমার মাথা থেকে ঝরে গেছি

তোমার সামনে এখন বিদেশি লেক আর নদী।

 

আচ্ছা, জালিম রোদের জুলুমকালে 

তুমিই আমার কাছে পাঠাও নাকি

কিছু সিন্ডিকেটেড মেঘ?

 

একটা প্রাচীন চুমুর ছায়া বজ্র হয়ে

বৃষ্টির বিন্দু হতে বারবার ভাবে-

একবার ঝরে গেলে

সে তো ঝরে-টরে মরে যাবে!

 

যেমন আমিও ঝরে গিয়ে মরে আছি

তোমার মেঘলা মাথায়।

 

 

 

 

 

 

ওয়াইল্ড নাইটস উথ এমিলি

~

 

এত স্বপ্নের জুলুম চললে

ঘুমাই কেমনে?

 

রাতের 

কবিতাহীন কোলে গিয়ে বসি

মুভিতে চোখ রাখি

 

দেখি

 

ভাই আর ভাতারকে খুন করে

কী তীব্র কবিতা লিখতে থাকল

এমিলি ডিকিনসন আর সুসান গিলবার্ট!

 

 

 

 

 

 

ক্লাউন

~

 

তুমি

আপেলের সবুজ হাসি।

 

হাইপ তোলা কুত্তামি

 

ঘেউ ঘেউ রঙের কবিতা 

পছন্দ করতেন কিনা

জেমিমা খান?

 

জানার আগে 

নিজেই নিজের গুণ গাও

তারপর নাহয় নুন খাও

চিনির উপর চাপ কমাও।

 

 

 

 

 

 

শ্বাসকালীন

~

 

এটা তোমার পায়ে হাঁটা নাকি 

আলী জাফরের গানে গাওয়া শহর?

 

শহর ছেড়ে

যারা যাওয়ার গেছে সব মেটস

যারা আছো হাই গাইস,

তোমরাই আশা দেবে

ভরসা দেবে

সময় হলে

প্রদর্শন করবে 

তোমাদের তুলতুলে পাছা।

 

কন্ট্রোভার্সির আবাসিকের সামনে-পিছনে

বাটপারদের বিচির বাগান থেকে

যথাপ্রাপ্য সুবাসে বেচাকেনা হয়ে জানবে

 

ঢাকাতেও শাখ খুলছে

হোটেল তাজ।

 

 

 

 

 

 

ব্যবসাপাতি

~

 

ঢাকা বা কুমিল্লার চোখ রাখি বরিশালি আকাশে। 

 

আকাশেরও মাঠ আছে, পুকুর আছে

 

হাঁস-মুরগির মতো 

চিলেরা ওইখানে তইতই করে। 

 

একজন লোকাল কবি গেরস্তের মতো 

চিলেদের দানা দেয়, পানি দেয়

আর একছোপ রং লাগায়

তাদের বাকেরগঞ্জি পাখনায়।

 

চিলেদের ছেলেমেয়েরা এখনও 

রঙয়ের বিজনেস করে থাকে বাংলা কবিতায়!

 

 

 

 

 

 

ধারাবাহিক

~

 

পাড়া থেকে প্রচুর কুকুর হারাচ্ছে

 

গুম হওয়া ঘেউগুলো কোথায় ঘুমাচ্ছে

 

বেড়ালের গলায় বাঁধা ঘন্টা খুলে যাচ্ছে

 

হেঁটে হেঁটে কারা সুগার কমাচ্ছে

 

লবণের বেড়ে যাওয়া দাম নিয়ে ভাবছে

 

ইল্যুশনের ফাটা ডিম রিয়্যালিটি হচ্ছে 

 

ফাটা ডিমে পারস্পরিক তা দেওয়া চলছে!

 

 

 

 

 

 

অকবিতা

~

 

ওইদিকে যাও

 

ওইখানে 

ভালো ভালো সব কবিতার কুক

 

ঘ্রাণেই অর্ধেক আহার।

 

এদিকটায় আছি;

বার্কিং ডগ।

 

ক্ষুধার্ত কান পেতে রাখো।

 


No comments:

Post a Comment