স্বরগ্রাম--- কথা বলো
স্বরগ্রাম-লেখা
পত্রাবলি ----বৃক্ষবল্কল
কথা
বলো
ওই
দূরে কুটিল তটিনী সন্ধ্যা হল
ভ্রাম্যমাণ
রাত্রি দেখো গ্রামদেশে ঈষৎ মন্থর এই ক্ষণে, এই স্থানু চিত্রসম্ভারে বিমুগ্ধ আমরা
হেঁটে
যাচ্ছি বর্ণমালার দিকে।
সেই
লিপি অন্ধকার জানে ?
সারিবদ্ধ
বৃক্ষকুল রাত্রির কিনারে বাঙ্ময়
তটিনীর
রেখাটিও বিলুপ্ত হল চরাচরে
এ-চরম
মুহূর্তঘিরে
বাতাস
ও বল্কলে লেখা যত কূটাভাস ----
সঙ্গীতের
বিবিধ হরফ --- স্বরগ্রাম
কথা
বলো
আমরা
বাক্যপ্রিয়, পথভ্রষ্ট ---
কিঞ্চিৎ
সন্দেহ-আকুল
তথাপি
মুগ্ধ হতে জানি।
অতল
জলশব্দে
এসেছে মাছেরা
অবাক
সে-গর্ভভরা জল
ডুব
দিয়ে খুঁজছে ডুবুরি
কত
রত্ন অতল অতল।
অতলের
শেষে শিহরণ
দন্ড
গাঁথা অতলের বুকে
উছলে
উঠছে জলধারা
জীবন্ত
দন্ড-সম্মুখে।
জলের
সে-চক্রব্যুহে এসে
মিশে
যাচ্ছে অপূর্ব আগুন
উত্তাপের
শীর্ষে জাগে প্রাণ
প্রাণ
বুকে ছুটে যাচ্ছে ভ্রুণ।
ভ্রুণে
ভ্রুণে ধাক্কা লাগে
সংঘর্ষ
ব্রহ্মাণ্ড অস্থির
সংঘাত
ভূমি থেকে একা
জন্ম
নিচ্ছে বিন্দু- শরীর।
এত
খেলা এই ভাণ্ডে ওগো
এত
ছোট্ট অনন্তের ঘর
চেয়ে
দ্যাখো বিন্দু-জলে ভাসে
লক্ষ-কোটি
বিন্দু-চরাচর।
কে তোমায় তর্জনী শেখালো
নিঃশ্বাসপতন-লেখা
বিচিত্র চিরকুট
কেন
আজ বাতাসে রেখেছো ?
কে
তোমায় ইঙ্গিতে তর্জনী শেখালো ?
আলোর
বিপ্রতীপে কাঁপে জল,
জলের গর্ভকেন্দ্রে
কে
রাখে তরঙ্গের সুতো !
বৃক্ষের
কাছে এসে ওষ্ঠ পেতে বারবার চেয়েছো চুম্বন
তুমি
কে ?
গ্রীষ্মছুটির
দিন শেষ হয়ে এল
আবার
অনন্ত ঘন্টা বাজছে ইস্কুলে
কে
তুমি শিউলি আঁচলে বেঁধে
ঢুকে
যাচ্ছো অঙ্কের ক্লাসে ?
চেয়ে
দ্যাখো আমরা এখনও
বসন্তের
বাগানে বসে
পুড়ে
যাচ্ছি কৃষ্ণচূড়ায়।
No comments:
Post a Comment