লুটপাট হলে পরে
খুব
বদমাশ, এই বৃষ্টির রাত
মেঘে
বিজলীর, শুধু শাদা ঝলকান
ভূমি
থেকে দেখি, নিশিভূত উঠে আসে
যার
খুণী চোখে, তরবারি ধারা শান
ছাই
রঙা নোনা হাওয়াতে,
কৃপা হোক
আদিপাপ, কামনার যত
শেরগান
পালানোর
দিনে, বুনোঝড় খালি ওঠে
রেণু
পেয়ে পাখি বুঝি,
ফিরে পাবে প্রাণ
কাঁচা
সড়কের ধারে, সুধা এলে ফের
বিবাহের
দিনে আসে, সেই আনচান
বরষার
ছাটে, যত গাছ বাঁচে, তাকে
দিয়ে
দিও, মুঠোভরা কিছু ফুল দান
গোপনের
তিলে, ছুঁয়ে রাখা মধুঠোঁট
মায়াযুথে
শুধু, হয়ে যাবে হয়রান
জলঘরে
যার, তিথিভোলা তোলামুখ
বনপথে
তার স্বরে, ভাসে জাফরান
ভাসানের
দেবী, কোন পথে ডুবে যাবে
লুট
করে নেবে, প্রেমিকের ভীরু জান
ফিরে
দেখি
ভ্রুতে
যেন আছে তার কাটাদাগ,
যদি হয় দেশভাগ মনে হয়, দেড়যুগ আগে দেখা তার
হাসি, কবে আর অভিসার ছিলো তার,
পাড়াগাঁর
পাশ দিয়ে থোকা থোকা ফুল ছিলো,
তুরাগের
কলকল জল ছিলো, বেমালুম ভুলে গেছি যার নাম, গাঢ় কালো রাত্তিতে
নিচুদর
নদীপথে ফ্ল্যাশব্যাকে তাকে দেখি
ঘুঙুরের
বোলে নাচে ফাগুনের নানা গান
অভিমান
কই যায়, বাতাসের দিন এলে
কোকিলেরা
অসময়ে উড়ে গেলে,
মনে পড়ে
ভুল
ত্রুটি, পানি দিতে গিয়ে শিশু ধান গাছে
ইবাদত
শীতের
রাতে পাহারা দেবে জলের ধারা?
দেখাও
তবে শরীরখানি ক্ষেতের পাশে
কোমল
পিঠে হাতের জাদু ভাসবে নাকি
সাহস
করে চুলের বেণী টানবে খুলে
ইচ্ছে
হলে নাইতে নামা মরণ ঘাটে
মন্ত্র
পাঠে সাঁতরে যাবে অল্প পানি
তৃষ্ণা
থেকে জন্ম নেবে বিরূপ হাওয়া
কীর্তিনাশা
শীর্ণ নদী শান্ত হলে
কানের
পাশে ক্লান্ত কথা বলবে শুধু
প্রেম
যখনি সেজদারত তোমার পাশে
জগত
জুড়ে মুক্তি নাকি এই এখানে
অন্ধ
হলে শরীর থেকে বংশ বাড়ে
নেতিয়ে
পড়া এমন প্রেমে,
ক্লান্ত তুমি!
ঐ
উড়ে এক শীতের পাখি যাচ্ছে দূরে
ক্ষেতের
পাশে কুন্দ ফুলে গাঁথছে মালা
লেপ্টে
রাখো তোমার চুমু মালার পাশে
কল্লোলিত
এই নদীটা হাঁটতে থাকো
হাঁটতে
থাকো চলাচলের উল্টো পথে
এমন
শীতে আমিষভোজে মন মানে না
প্রেম
যখনি সেজদারত আমার পাশে
No comments:
Post a Comment