বাক্‌ ১৫২ ।। চিনু কবির


 লেখা ঘুমায়


আচমকা ভিড় ঠেলে ছুটে আসতে চেয়েছিলাম
সম্ভব ছিলো না জেনেও
লেটোর দলে ফিরে যেতে চেয়েছি
গান যেখানে বাকি থাকে
সুর বিতান মুছে যায় রংধনুর পাশে
হংসমিথুন হলে আকাশের সমান বুক নিয়ে
উড়ে যাই অনেকদূরে

পৃথিবীর ডাকবাক্সগুলো অযথা পড়ে আছে
লেখা ঘুমায়, থেমে যাওয়া শূন্যতার ভেতর।

 



টাউনহল

হলফলে লালশাকের ক্ষেত
আমি ভাতে টাউনহল মাখি
সুস্বাদু টাউন হল
লাল হয়ে ওঠা থালার শিথানে
ছোট্ট লবনবন সমুদ্র ডাকছে-
আমাদের লুঙ্গি পড়া মুক্তিযুদ্ধ

দাঁড়িয়ে আছে বেহাত
নাল টাউনহল।

 



মায়া টকিজ

ঘনঘন মায়া দাড়িয়ে থাকে
আঁচলভর্তি সংসার, ম্যাটানি শোতে
চলে যাচ্ছেন মা।
লেজার খাতায় গড়িয়ে পড়ছে বিকেল
বাবা এখনো ফিরতে পারেনি।

আয়েস করে টকি দেখছি-
মায়ের কোলে বসে।


 

আব্বার পা

এই শীতে আব্বার পায়ের মাপে
জুতা কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরি
পকেটের মাপে জুতা পাচ্ছিনা

দোকানের বাইরে অনেক রোদপাখি
থিতানো ঢেউয়ের আঘাত

ঘরে ফেরার পথে ময়লা ফেলা ঝুড়িতে

আব্বার ফাটা পাগুলো রেখে আসি।

 



ডাহুক

পৃথিবীর কোথাও মানুষ কেঁদে উঠলে
ভেতরের পাথরগুলো বেজে ওঠে
বউয়ের অভিমত- আমি নাকি তোতলা...

আসলেই পৃথিবীর প্রান্তে পৌঁছে দেবার মতো
কোন কথা আমার ওষ্ঠে ফোঁটেনা
ভেতরে ঘর্ঘর
মুখে ফেনা ওঠা রোগীর মতো
মোচরাতে থাকি, উল্টানো চোখে তাকায়ে দেখি

উড়ন্তডাহুক একটা বিল মুখে নিয়ে উড়ে যাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment