সরস্বতী- সঙ্গম
১.
গাঢ়, ঘন।
আঙুলের টিপ, গুঁড়ো আগুনের চন্দন। সে শিখিয়েছিল কীভাবে,
স্বপ্নে জিভ দিয়ে দেখতে হয়।
২.
মানুষ বড় অদ্ভুত। বহু বছর পর নিজের ভুলেদের ভুলে গিয়ে
ভুল করে বসাই তার ধর্ম।
ইতিহাস উপস্থাপনাই, ইতিহাসের এক পুনর্গঠন।
এভাবেই সকল জীবনের, সব গল্পের এক
একঘেয়ে প্যাটার্ন থাকে। তার কবোষ্ণ তালুতে বসা প্রজাপতি
মুঠোর ঘেরাটোপ পেরিয়ে উড়ে যায়
বার বার।
৩.
স্বপ্ন। ডাবের শাঁসের মতো
স্পর্শকাতর। চোখের আলগা চাপে
ফোটে
আজকাল সব প্রেসার পয়েন্ট গুলিয়ে
যায়।
কানের পাতার পেছনে আবেশের থলি
শূন্য।
ক্লান্তির কারণ ক্লান্তি হয়ে
গেলে,
সেই চোখে ঘুম আসে।
বন্ধ্যা ঘুম।
৪.
আমার আত্মার বিন্যাস নষ্ট হয়ে
আসছে।
পিক্সেলে ভেঙে যাচ্ছে আমার
সমস্ত দৃশ্য
সময় এক বিশাল শ্রেডিং মেশিন!
তার মধ্যে সমান টুকরোয়
টুকরোয় টুকরোয়
ভাগ হয়ে যাচ্ছে আমার ছায়া।
৫.
গুঁড়ো আগুনের চন্দন। চন্দনমহল।
আঙুলের টিপে জ্বলে উঠুক
ভ্রুমধ্যরেখা। আর একবার
আর একবার সমস্ত চাপা চিৎকারে
আমার দেহ চিরে উঠে বসুক সেই দেবী।
তার শরীর পোড়াকাঠের মতো গাঢ়, ঘন কালো শশ্মানাচারী উদবৃত্ত অলোক। চোখে
ধ্বংসের উল্লাস
আমার উন্মুক্ত নাভিকমলে সে পদ্মাসনা
হোক আবার
রাতের পটে আমার চোখ খুলে দিক
তার রক্তদোয়াতে খাগ ডুবিয়ে,
সে আর একবার লিখতে শেখাক আমায়।
তার নখের আঘাতে আমার বুক থেকে
ঝড়ুক
তিপ্পান্নতম কলা।
No comments:
Post a Comment