আগুন একমাত্র প্রিয়
তুমি
নিজ হাতে আজ আগুন নামিয়ে রাখো
কাঁদো
কাঁদো, এমন করে কাঁদো
যেন
বিষাদপৃষ্ট তোমার ওই নীল মুখ জ্বলে ওঠে,
জ্বলে
ওঠে রক্তাক্ত দক্ষিণা
তুমি
চেয়ে দেখো আমাদের যৌথ উঠোনে সমাপিকা ভোর
তারারা
আলোর বীজ বপন করে বন্ধ্যা বাগিচায়
'ঝরে পড়ো, ঝরে পড়ো' বলতে বলতে
খেলে যায় হাওয়া
আর
আমার অনামিকা তার আজীবনের ভার বহন করে।
কে
শেখালো তোমায় এমন গান,
বেদনা, ক্রন্দন
লোভ
হয় ছুঁয়ে দেখি,
মুহুর্তে
যেন স্ফটিক ছড়িয়ে পড়ে অব্যবহিত ঈশান কোণে
আর
কতদূর?
অপেক্ষা
করো, এভাবে আর কারুর কাছে পৌঁছানো যায় না
তোমার
শিরা শিকড় দিয়ে ধরে রাখো মাটি, বনস্পতি
তুমি
একাকিনী, তবে আমিও কি নই!
আমি
বলবো অপব্যয় ক'রো না ঘুম, এবং ভিতরে সমুদ্রস্বপ্ন
মাঝ
সমুদ্রের ঠিক কোন দিকে ভেসে যাই, দাঁড়ের শব্দ ছলাৎ ছলাৎ
সমর্পিত
জলের লহরীতে যদি ফিরতে পারি সেদিন
হয়তো
জীবিত শঙ্খ এনে দেবো তোমাকে
তুমি
নিজ হাতে আজ আগুন নামিয়ে রাখো
গান
গাও
যেন
প্রগাঢ় অনুভবে,
ভেজা শিশু উপত্যকায়,
প্রচ্ছন্ন
নিকষ অন্ধ গহ্বরে কিংবা অন্য কোনখানে
ঘুরে
বেড়ায় এক নির্লিপ্ত ধূসর মেঘ।
No comments:
Post a Comment