বাবা
এঁকে যাচ্ছি। ফোঁটা ফোঁটা। সেই অরুন্ধতী কিংবা স্বাতী
থেকে। শীর্ণ ভাগিরথী। হায়, ফুরিয়ে আকাশ।
আলো উঠুক। তার সবটুকু। একদিন তো নদীতেই। তার আগে এই পথ, কোন
এক ভ্রুণ হইতে। আমি আর অশ্রু রাখিতে পারি না। পাখি দেখি। অর্দ্ধস্ফূট ডিম। বাতাস
জড়িয়ে হাহাকার। রক্ত এবং রক্তে বড়ো অন্ধকার। হাঁটতে শিখছি। বাবা। ঘন্টা বাজে। একা।
পাতায় পাতায় জমে অন্ধকারের জল, জমে।
অন্ধকার
দিনকে দীনতা মুছে দিচ্ছে। আলো-কে অশেষ। রম্বসের একটা
কোণ থেকে শুরু করেছি। দৌড়। ছুঁয়ে যাচ্ছি খাঁজসব। কি বিচিত্র সব ছবি। মাকড়সার
সাদাকালো চালচিত্র। রমণের, ক্ষুধার। আশনাই
আঁকিতে আঁকিতে চমৎকার বেতন। চেয়ার দুলিতেছে। ছায়া-ও। আমি জানি। সে আসিবে, জানি আমি। অন্ধকার ক্রমে আরো অন্ধকার। শেষ চুমুকে শেষ হইল, শাটারের স্পিড সঠিক ছিল না। ফলত সবটুকু আলো। কেহ কথা বলিতেছিল।
সিম্ফনি
আলোকিত নহে, এমন বসবাস। অথচ ছায়া এবং গ্লাসগুলি ওঠানামা করিতেছে। শব্দ নাই, অথচ ইঙ্গিতে আর্শি কাঁপিতেছে। বন্দুক কি শীতল ছিল? প্রশ্নচিহ্ণে
স্বভাবতই সংশয় আসে। রাত্রি আসে। একমাত্র ওই নীল ছোট পাখি ইত্যাকার গূঢ শব্দ শুনিল
না। সে তখন স্বপ্নে ছিল। একমাত্র বাসার, একমাত্র ডিমের।
রাত্রি সে শুনিয়াছিল প্যাঁচার শব্দে, উদ্বেগের জাগরণে। এই
পর্যন্ত তাহাদের৷ যাতায়াত ছিল, ফেরা ছিল। আমার পিতা কি এই
যঢ়যন্ত্রে দূরত্ব মাপিতেছিলেন!
যমদগ্নী
অনলে বহিয়া। সে ভূত প্রান্তর। শিলীভূত স্ব অধীনতা।
অপরে গাহিল। কবেকার অরূপ বুঝি! অশ্রু বুঝি। না সরাইয়া, অপ অব্যবহারে। দুটি পাতা অপরূপ জোড়।
সম্ভাবনাও সেকালে রক্তিম। বিশেষণসব শহরে করতালি। সমবেত, কার্তিকের
ভোরে। কে কাহার সংবাদ বিনিময়ে আগ্রহী! তাহার অনুযায়ী
ছিল কিছু। কিছু ছিল।
No comments:
Post a Comment